এফিডস, বৈজ্ঞানিকভাবে Aphididae নামে পরিচিত, ছোট পোকামাকড় যা উদ্ভিদের রস খাওয়ায় এবং উদ্যানপালক এবং কৃষকদের জন্য একটি সাধারণ কীট। তাদের একটি নরম, নাশপাতি আকৃতির শরীর রয়েছে এবং সবুজ, কালো এবং লাল সহ বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়। যদিও এফিডগুলি নিরীহ বলে মনে হতে পারে, তারা দ্রুত পুনরুৎপাদন করতে পারে এবং উদ্ভিদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে পারে।
কারণসমূহ:
এফিডগুলি নতুন বৃদ্ধির প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং সহজেই উদ্ভিদ থেকে উদ্ভিদে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তারা দ্রুত পুনরুৎপাদন করে, মহিলারা সঙ্গমের প্রয়োজন ছাড়াই অল্প বয়সে বেঁচে থাকার জন্ম দেয়। এর অর্থ হল একটি সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এফিডগুলি হানিডিউ নামে একটি আঠালো পদার্থও নিঃসরণ করে, যা অন্যান্য কীটপতঙ্গ যেমন পিঁপড়াকে আকর্ষণ করতে পারে এবং গাছে ছত্রাকের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।
সংগ্রামের পদ্ধতি:
এফিড নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
শারীরিক অপসারণ - এফিড নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল গাছ থেকে শারীরিকভাবে অপসারণ করা। এটি জলের একটি শক্তিশালী স্রোত দিয়ে স্প্রে করে বা একটি স্যাঁতসেঁতে কাপড় দিয়ে মুছে ফেলার মাধ্যমে করা যেতে পারে।
উপকারী পোকামাকড় - আপনার বাগানে লেডিবগ বা লেসউইংসের মতো উপকারী পোকামাকড় প্রবর্তন করা এফিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এই পোকামাকড় এফিড খায় এবং তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করতে পারে।
নিম তেল - নিম তেল একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক যা এফিড নিয়ন্ত্রণে কার্যকর হতে পারে। এটি তাদের খাওয়ানো এবং প্রজনন আচরণ ব্যাহত করে কাজ করে।
কীটনাশক সাবান - কীটনাশক সাবান একটি কম-বিষাক্ত কীটনাশক যা এফিড নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি এফিডের শরীরের বাইরের স্তরকে ব্যাহত করে কাজ করে, যার ফলে তাদের ডিহাইড্রেট হয় এবং মারা যায়।
হর্টিকালচারাল অয়েল – উদ্যানপালন তেল এফিডগুলিকে ধূসর করে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি তাদের শরীরকে তেলের একটি পাতলা স্তর দিয়ে আবরণ করে কাজ করে, যা তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসে হস্তক্ষেপ করে।
উপসংহারে, এফিডস উদ্যানপালক এবং কৃষকদের জন্য একটি হতাশাজনক কীট হতে পারে। যাইহোক, নিয়ন্ত্রণের সঠিক পদ্ধতির সাহায্যে, তাদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং উদ্ভিদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব। এফিডের উপদ্রব শুরুতেই শনাক্ত করা এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া প্রতিরোধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য।